প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে সহজ হয়, উদ্যোক্তারা যাতে উৎসাহ পায়, আমরা সর্বদা সেই কাজই করছি। আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে। 'জাতীয় রপ্তানি ট্রফি' প্রদান উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রোববার (১৪ জুলাই) এই রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে সফল রপ্তানিকারককে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্যের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বিশ্ব বাজারে দেশীয় উৎপাদিত মানসম্পন্ন পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। বিশ্ব অর্থনীতির এ কঠিন সময়েও পণ্য ও সেবাখাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৬৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে।
২০২৭ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার এবং রপ্তানিকারকরাসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেবা খাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন, পণ্য খাতের মতো সেবা খাতেও আমরা সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে সহজ হয়, উদ্যোক্তারা যাতে উৎসাহ পায়, আমরা সর্বদা সেই কাজই করছি। আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছি। মহামারির প্রকোপে অনেক দেশের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের জিডিপিতে ৩.৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। আর এসবই সম্ভব হচ্ছে- দূরদর্শী ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি-২০৩০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এর কর্মকৌশল সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে।