আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আর সেজন্যই চক্রান্তমূলকভাবে ২১ আগস্টের মামলায় জড়িত করা হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বোমা হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে যুক্ত করা হয়েছে। তার ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর, তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয়। নিজেদের মতাদর্শের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে; আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে, তাদেরই আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম না থাকার পরেও, তাকে জড়িত করা সম্পূর্ণরুপে ডামি আওয়ামী সরকারের চরম আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। বিপর্যস্ত রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক স্বাধীনতাকে বর্তমান দশায় উপনীত করার জন্যই, তারেক রহমানের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে সাজা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সত্য ও সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য সুশীল ভদ্রলোকদের সমাজে টিকে থাকাকে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। স্বার্থান্ধতা, ঔদ্ধত্য ও মহাদুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রেখে, সরকার এখন তারেক রহমানকে নিয়ে বিষোদগার করছেন। চারিদিক থেকে ব্যর্থ আওয়ামী সরকার রাজনৈতিক বিরোধের ছায়াকে, প্রলম্বিত রাখতে চান অশুভ উদ্দেশ্যে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপীদের আইনের আওতায় শাস্তি হতো। অথচ তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ডামি সরকার জনপীড়ক ও অত্যাচারী বিচার শূন্যপ্রশাসন ও আইন বিভাগ দিযে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের কলঙ্কিত দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে এবং দুর্নীতির মহামারীতে ক্ষমতার সাথে সংশ্লিষ্ট বড় বড় কর্মকর্তাদের অভিনব দুর্নীতির সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে, তখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের হুমকি গভীর চক্রান্তের অংশ।