হাতিয়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়দেইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
মামলায় অভিযুক্ত ১নং আসামী সোহেল (২৫) বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত উল্যার ছেলে ও ৩নং আসামী বিউটি (৪৮) রহমত উল্যার স্ত্রী। অপর অভিযুক্ত ২নং আসামী মো. শাহীন (২০) একই ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের মো. সাখাওয়াতের ছেলে।
বুড়িরচর আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: সুলতান আহমেদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছে। বিকেলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমাদের দশম ছাত্রীকে বখাটে সোহেল সহ তার সঙ্গীরা জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পাশের ছোট ছোট ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দিলে তিনি এবং স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসে তাকে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য এর আগেও সদু মেস্তুরির তেমুহনীতে এ সকল বখাটে ছেলেরা মেয়েদেরকে উত্যক্ত করার বিষয়ে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে হাতিয়া থানা এবং সাগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে অভিহিত করার পর কয়েকবার অভিযান দেওয়া হয়েছে। অত্র মাদ্রাসায় প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে। এরকমের ঘটনায় এলাকার ছাত্রী ও অভিভাবক মহলে উদ্বেগ বিরাজ করছে। অভিভাবকগণ কিভাবে নিশ্চিন্তে তাদের মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে?
হাতিয়া থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) জিসান আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। ২ আসামী পলাতক থাকলেও ৩নং আসামীকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।