হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ নামক একটি স্ট্যান্ডে শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটার ঘটনায় সংগঠনটি কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।
রোববার (৪ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেন এবং বলেন, "ফ্যাসিস্ট হাসিনার কুশপুত্তলিকায় হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই।" তিনি আরও বলেন, ১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ নামে একটি স্টিকার লাগানো স্ট্যান্ডে হাসিনার কুশপুত্তলিকা ঝোলানোর ঘটনা একদম আলাদা, এবং এটি ছিল 'জুলাইর যোদ্ধা শিক্ষার্থীদের' প্রতিবাদস্বরূপ।
এছাড়া, হেফাজত মহাসচিব আরও জানান যে, এই ঘটনার সাথে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং এটি সাধারণ জনতার ক্ষোভের প্রকাশ ছিল। "গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি জনগণের ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। হেফাজতের কোনও সম্পর্ক নেই," বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, কিছু মিডিয়া এবং রাজনৈতিক গোষ্ঠী হেফাজতকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সংগঠনটি নারীর প্রতি সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখতে কাজ করছে। "হেফাজত নারীর অসম্মান বা বিদ্বেষকে সমর্থন করে না," বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাজিদুর রহমান আরও বলেন, "আমরা অতীতে বারবার সহিংসতার শিকার হয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতেও পুলিশের আক্রমণ হয়েছে এবং সহিংসতার দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অপপ্রচার এবং বিরোধী প্রচেষ্টা সবসময়ই চলেছে।"
তিনি হেফাজত মহাসমাবেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা সবসময় শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
তাছাড়া, সাজিদুর রহমান আরও বলেন, হেফাজতে ইসলাম আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন ও প্রচারণা চালানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
"নারীর সম্মান এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি, এবং হেফাজতের নেতাকর্মীরা নারীর অসম্মান হতে পারে এমন কোনো কাজ কখনো করবেন না," এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
এছাড়া, হেফাজত মহাসচিব সরকারের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, "ফ্যাসিস্টরা সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু হেফাজতের নেতৃত্ব সেই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে কাজ করছে।"