গ্রীষ্মের প্রথম দিকে তেমন গরম অনুভূত না হলেও জ্যৈষ্ঠের সাথেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশেই পারদ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরো বেশি। যখন প্রচন্ড গরম থাকে, তখন আরামদায়ক এবং নিরাপদ থাকার জন্য এটি থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা অপরিহার্য। এখানে তাপ পরিহার করার কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে:
হাইড্রেটেড থাকুন: আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সারাদিন প্রচুর পানি পান করুন। চিনিযুক্ত বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ তারা আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে।
সর্বোচ্চ তাপের সময় ঘরে থাকুন: সূর্য সাধারণত সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। এই ঘন্টার মধ্যে বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে যদি আপনি তীব্র তাপ সহ এলাকায় থাকেন।
ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন: আপনার যদি ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার অ্যাক্সেস থাকে, তাহলে অভ্যন্তরীণ স্থানগুলিকে ঠান্ডা করতে সেগুলি ব্যবহার করুন। সিলিং ফ্যান, পোর্টেবল ফ্যান এবং এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সবই ঘরের ভিতরে তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পর্দা বা খড়খড়ি বন্ধ করুন: দিনের সবচেয়ে গরম অংশে পর্দা এবং খড়খড়ি বন্ধ রাখুন যাতে সরাসরি সূর্যালোক আটকে না যায় এবং ঘরের ভেতরের স্থানগুলোকে ঠান্ডা রাখে।
লাইটওয়েট পোশাক পরুন: তুলো বা লিনেন-এর মতো শ্বাস নেওয়া যায় এমন কাপড় থেকে তৈরি হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন। হালকা রং সূর্যালোককে প্রতিফলিত করতে এবং আপনাকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করতে পারে।
ঠাণ্ডা ঝরনা বা স্নান করুন: একটি শীতল ঝরনা বা গোসল আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং তাপ থেকে সাময়িক উপশম দিতে পারে।
কুলিং পণ্য ব্যবহার করুন: আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য বরফের প্যাক, কুলিং তোয়ালে বা কুলিং বালিশের মতো শীতল পণ্য ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।
ছায়া সন্ধান করুন: আপনার যদি বাইরে থাকার প্রয়োজন হয়, যখনই সম্ভব ছায়া সন্ধান করুন। গাছ, ছাতা বা ছাউনি সূর্যের রশ্মি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ভাল-বাতাসবাহী জায়গায় থাকুন: ভাল বায়ুচলাচল এবং ভাল বায়ুপ্রবাহ আছে এমন অভ্যন্তরীণ স্থানগুলি বেছে নিন। বায়ু সঞ্চালন উত্সাহিত করার জন্য জানালা এবং দরজা খুলুন।
শারীরিক কার্যকলাপ সীমিত করুন: দিনের উষ্ণতম সময়ে কঠোর শারীরিক কার্যকলাপ এড়াতে চেষ্টা করুন। আপনার যদি ব্যায়াম করার প্রয়োজন হয়, তাপমাত্রা ঠান্ডা হলে ভোরে বা সন্ধ্যায় তা করুন।
আপনার শরীরের কথা শুনতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিরতি নিতে মনে রাখবেন। তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা যেমন তাপ ক্লান্তি বা হিটস্ট্রোক গুরুতর হতে পারে, তাই যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।