কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়ে ১১তম দিনের মতো আন্দোলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন বিশ্বিবদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের আটশতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল, সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে। চাকরী পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। এর মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্ছিত করা হচ্ছে।
সংবিধানে বলা আছে কোটা থাকবে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য। এটা নিয়ে আমরা স্থায়ী সমাধান চাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করা হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।
কোটা সংষ্কার নিয়ে আন্দোলনরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি আমাদের আন্দোলনরত ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, গায়ে হাত তোলা হয়েছে। সারাদেশে চলমান শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। হামলা করে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে না।