ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে লাহোর সেনা ছাউনি সংলগ্ন এলাকায় প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর করাচি, গুজরানওয়ালা, রাওয়ালপিণ্ডি, শেখপুরা, নারওয়াল, উমরকোট, ঘটকি, সিয়ালকোট ও বেলুচিস্তানের অন্তত ১৫টি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অধিকাংশ বিস্ফোরণ ড্রোন হামলার মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। করাচিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। করাচির এসএসপি মালির বরাতে জানা গেছে, একাধিক ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলা হয় এবং ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পাকিস্তান পুলিশের দাবি, মোট ১২টি ‘হার্প’ ড্রোন বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে। অনেক এলাকায় ড্রোন গুলি করে নামানো হলেও বিস্ফোরণের বিষয়টি সরকারিভাবে স্বীকার করেনি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জনগণকে ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ধাতব টুকরো, যা ড্রোন ও বিস্ফোরক যন্ত্রের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পেছনের প্রেক্ষাপট
মাত্র একদিন আগেই পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ ভারতীয় সৈন্য নিহত হন। এর পাল্টা জবাব হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে বিশেষ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলায় ভারত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
এই ঘটনার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মাথায় পাকিস্তানে এতগুলো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় বিষয়টি ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এখনও পরিষ্কার নয়, এই হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে।
সরকারিভাবে চুপচাপ পাকিস্তান
যদিও এসব হামলায় কারা জড়িত, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে।