২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন কুমার দাস। যদিও অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি—চার ম্যাচে তিন জয়, তবে ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স ছিলো অত্যন্ত হতাশাজনক। অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে লিটনের সংগ্রহ মাত্র ১৭ রান, যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়।
নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন কে হবেন নতুন অধিনায়ক। সম্ভাব্য তালিকায় ছিলেন লিটন ও তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অভিজ্ঞ ওপেনার লিটনের হাতে।
তবে ব্যাট হাতে লিটনের সময়টা বেশ কিছুদিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বের প্রশংসা পাওয়া গেলেও, ব্যাটিংয়ে তার অবদান ছিল একেবারেই নগণ্য। ফর্মহীনতার কারণে তিনি বাদ পড়েন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকেও। এরপর পিএসএলে খেলার সুযোগ এলেও, করাচি কিংসের হয়ে মাঠে নামার আগেই ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন।
তবে অধিনায়কত্বের ঘোষণা আসার দিনেই লিটনের পুনর্বাসনের কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে তাকে চনমনে মুডে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। আগত দুই সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন লিটন, কিন্তু বড় প্রশ্ন থেকেই যায়—ব্যাট হাতে কি এবার তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন?
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে হতাশ না হয়ে উপায় নেই। অধিনায়ক হিসেবে চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে তার মোট রান মাত্র ১৭। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অকল্যান্ডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। তিন বছর পর, ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফের অধিনায়কত্ব পেলেও ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি—মাত্র ১৭ রান, তিন ইনিংসে।
তবে একটি ব্যাপার আশার, অধিনায়ক হিসেবে লিটনের নেতৃত্বে টাইগাররা চার ম্যাচের তিনটিতে জয় তুলে নেয়। সামনের দিনগুলোয় দেশের বাইরে বেশ কিছু সিরিজ, এরপর এশিয়া কাপ ও পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। লিটনের অধিনায়কত্বে শুধু তার নয়, দলের ভাগ্যও ঘুরে দাঁড়াবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।