ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বর্তমানে চরমে পৌঁছেছে এবং এর ফলে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলার পর উভয় দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার (৫ মে) এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে, যেখানে পেহেলগামে হামলা এবং ভারত-پاکستانের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
পাকিস্তানের অনুরোধে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। পাকিস্তান তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানায় যে, তারা জাতিসংঘে আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং ভারতের একতরফা পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবে। পাকিস্তান এই কূটনৈতিক উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের একটি উপায় হিসেবে দেখছে।
ভারত, পেহেলগামে হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সীমান্তবর্তী আতারি-ওয়াঘা স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে “যুদ্ধ ঘোষণার শামিল” বলে উল্লেখ করে এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান এছাড়া তার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করেছে, যা ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে “খোলামেলা উসকানি”।
এই উত্তেজনা বাড়ানোর প্রেক্ষিতে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া জানিয়েছে যে, তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত, যদি উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি, সীমান্তে সংঘর্ষ এবং পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের এই বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সেটাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে রয়েছে।
এদিকে, চলতি মে মাসের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করছে গ্রিস, যার নেতৃত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।