৮০টির বেশি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম দেখতে পারবেন না রাশিয়ার মানুষ। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)ভুক্ত ২৫টি দেশের ৮১টি সংমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে মস্কো। রাশিয়ার মানুষ আর এই সংবাদমাধ্যমগুলো দেখতে পারবেন না। খবর ডয়চে ভেলের।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও এই গণমাধ্যমগুলো অসত্য তথ্য দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রাশিয়ার। বস্তুত, ইউক্রেনের অভিযানকে যুদ্ধ বলছে না রাশিয়া। এটিকে বিশেষ সেনা অভিযান বলা হচ্ছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ গণমাধ্যমই এটিকে যুদ্ধ বলছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও বেশ কিছু স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মস্কো। প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মে মাসের একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। ওই মাসে ইইউ চারটি রুশ সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ওই গণমাধ্য়মগুলো। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় রয়েছে। এই সংবাদমাধ্যমটি সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা করে।
সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছিল মস্কো।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর বহু পশ্চিমা গণমাধ্য়ম তাদের কর্মীদের রাশিয়া থেকে বাইরে নিয়ে যায়। কারণ সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একাধিক আইন পাশ করে রাশিয়ার পার্লামেন্ট। ডিডাব্লিউকেও সে সময় নিষিদ্ধ করেছিল রাশিয়া।
মঙ্গলবারের নিষেধাজ্ঞা জারির একদিন আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বস্তুত, মুক্ত সাংবাদিকতার সংক্রান্ত বৈশ্বিক সূচক প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে রাশিয়ার অবস্থান ১৬২ নম্বরে।