পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে টেকসই করতে হলে পরিবেশ ও প্রকৃতির রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্যে জীববৈচিত্রের ক্ষতি ও দূষণ রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বে রোল মডেল, সবুজ প্রবৃদ্ধিতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। সকলে মিলে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে সবুজ বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সফল হতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন: একসাথে দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গ্রিন গ্রোথ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে। জিডিপি বাড়লেই হবে না, পরিবেশ ঠিক করতে হবে। দূষণ বেশি হলে প্রবৃদ্ধি হবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের দিকে যেতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে, এক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি সেক্টরকে প্রণোদনা দিবে। আসুন সবাই মিলে একটি সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো: শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে। সরকার দেশের উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ডেল্টা প্লান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়ন করছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো: শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম মাকসুদ কামাল, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম প্রমুখ। অতিথিবৃন্দ গ্রিন গ্রোথ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।
সেমিনারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, গবেষক এবং পরিবেশবিদ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং দেশের সবুজ প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিনিময় করেন।