বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয়েছে বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট- ৩’।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পর বন্দর অ্যালার্ট-৩ জারি করে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে খালি করা হচ্ছে সবক’টি জেটি।
জানা গেছে, বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে রোববার দিনের প্রথম জোয়ারের সময় বহির্নোঙরে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ৩ টি কন্ট্রোল রুম।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। খুলেছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে। ক্রেনসহ সব হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট প্যাক করা হচ্ছে যাতে বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বন্ধ করা হচ্ছে। চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় অতিরিক্ত লোকবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করেছে। ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন জনগণকে তথ্যসেবা দিতে নগরীর দামপাড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।