ঢাকা | |

নতুন শিক্ষাক্রমে ৪ শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের
  • আপলোড সময় : ৭ মে ২০২৪, দুপুর ১২:৫৩ সময়
  • আপডেট সময় : ৭ মে ২০২৪, দুপুর ১২:৫৩ সময়
নতুন শিক্ষাক্রমে ৪ শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল ছবি: সংগৃহীত

হাইড্রোজেন অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের ৯৩ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘হাইড্রোজেন পানির বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয় একই বইয়ের ১২৫ পৃষ্ঠায় একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘প্লাটিপাস মেরুদণ্ডী প্রাণী হলেও ডিম পাড়ে। তথ্যও ভুল। কারণ প্লাটিপাস মেরুদণ্ডী নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী। রকম ১৪৭টি ভুল ধরা পড়েছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১টি বইয়ে। এরই মধ্যে ভুলগুলো সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।

গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

গত বছরের মতো এবারও ক্লাস শুরুর পর পাঠ্যবইয়ে থাকা নানা ভুল অসংগতি নিয়ে বিতর্ক সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি -মেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এর আগে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির চার বইয়ে ১৮৮ ভুল, ৫৮টি অসংগতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।

এনসিটিবি থেকে জানা যায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুলত্রুটি

অসংগতি বের করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, চলতি বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুলত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।

সূত্র:আজকের পত্রিকা

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: স্টাফ রির্পোটার।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
শেখ পরিবারের নাম থাকলেই প্রকল্প পাস

শেখ পরিবারের নাম থাকলেই প্রকল্প পাস