হামাস বলছে, তারা ‘ইতিবাচক মনোভাব’ নিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিবেচনা করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে যে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য এমন প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি ।
কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর হামাস সর্বসাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সম্পর্কে আশাবাদী সুরে কথা বলছে। তাদের আশা, শীঘ্রই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। যদিও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের চিকিৎসকরা শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় নতুন করে হামলার খবর দিয়েছেন।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, প্রায় সাত মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া সমস্ত বাড়ি পুনর্নির্মাণ করতে ৮০ বছর সময় লাগতে পারে। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীরা এখন পর্যন্ত একমাত্র নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির চুক্তির অধীনে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ১০৫ জন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা গিয়েছিল।
ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের হামলায় জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ১২৯ জন বন্দি গাজায় রয়ে গেছে। সেনাবাহিনী বলছে, তাদের মধ্যে ৪৯ বছর বয়সী ড্রর অরসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছে। নতুন একটি চুক্তির শর্ত নিয়ে কয়েক মাস ধরে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ চলছে। ব্রিটেনের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, বিবেচনাধীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং সম্ভাব্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর সাথে ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়।
গাজায় মানবিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা বিশ্বে বিক্ষোভকে প্ররোচিত করেছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘ঘৃণা ও ইহুদিবিদ্বেষ দ্বারা দূষিত’ হয়ে পড়েছে। গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকলেও সেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইসরায়েল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পুনরায় সীমান্ত ক্রসিংসহ ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।