ঢাকা | |
সংবাদ শিরোনাম :
৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করলেন ইশরাক ঢাকা বোট ক্লাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ অভিযান উপদেষ্টাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে আন্দোলন: ইশরাক হোসেন ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথগ্রহণে বাধা নেই: হাইকোর্টের রিট খারিজ ট্রাম্পের 'শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা' মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে উত্তেজনা ওয়াশিংটন ডিসিতে ইহুদি জাদুঘরে হামলায় ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত ১লা জুনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ সাড়ে পাঁচ বছরের প্রতীক্ষা শেষে ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু বাংলাদেশের বিপক্ষে আমিরাতের সিরিজ জয় রাখাইনে মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, হবেও না: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্ভব নয়: মমতা

রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয় বলে
  • আপলোড সময় : ২৫ জুন ২০২৪, সকাল ৯:১০ সময়
  • আপডেট সময় : ২৫ জুন ২০২৪, সকাল ৯:১০ সময়
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্ভব নয়: মমতা ছবি : সংগৃহীত
রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার (২৪ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

মমতা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে— যদি বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়।

নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনার একদিন পর সোমবার ওই চিঠি লিখেছেন মমতা। এতে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ এবং মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণযোগ্য কিংবা কাম্য নয়।

মমতা লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে।’ 

পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এই ধরনের চুক্তিতে ‌‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়, ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালুর দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

তবে পানি অত্যন্ত মূল্যবান এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার। আমরা এমন একটি সংবেদনশীল ইস্যুতে আপস করতে পারি না; যা জনগণের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে, চিঠিতে লেখেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় নদী তিস্তার পানি বন্টনের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সিকিমে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ এবং নদীর ঊর্ধ্ব জলাভূমি এলাকায় বন উজাড়ের কারণে ভারতের দিকে তিস্তা ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন ভাগাভাগি করার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই।

মমতা লিখেছেন, বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তাকে পুনরুজ্জীবিত করার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি যে, জলশক্তি মন্ত্রণালয় ভারতে নদীটিকে তার আসল রূপে ফেরানোর জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
উচ্চগতি ইন্টারনেট সেবাদাতা স্টারলিংকের আজ থেকে যাত্রা শুরু

উচ্চগতি ইন্টারনেট সেবাদাতা স্টারলিংকের আজ থেকে যাত্রা শুরু