টাঙ্গাইলের বানভসি মানুষের মাঝে ডায়রিয়াসহ ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। বানভাসি মানুষের নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও নিরাপদ স্যানিটেশনে দেখা দিয়েছে শিশুদের ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ।
জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় গাবসারা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল কালিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা, চন্ডিপুর, মেঘারপটল, রাজাপুর, অর্জুনা ইউনিয়নের শুশুয়া, বাসুদেবকোল, ভদ্রশিমুলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় পানিবন্দি ঘরবাড়িতে টিউবওয়েল, স্যানিটেশন, রান্নাঘর তলিয়ে রয়েছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে পানি সরবরাহ করে প্রয়োজনীয় কাজ করছেন বানভাসি মানুষগুলো।
কালিপুর গ্রামের শফিকুল বলেন, দুর্গম চরাঞ্চলের লোকজন গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এছাড়াও শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পানিবন্দি ঘরবাড়িতে টিউবওয়েল, স্যানিটেশন, রান্নাঘর তলিয়ে রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে পানি সরবরাহ করে খাচ্ছি।
অনেক সময় বিশুদ্ধ পানি দূরে থেকে আনার অভাবেই তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েলের পানি পান করি। তিনি আরও বলেন সরকারে থেকে শুকনো খাবার পাচ্ছি ও বিশুদ্ধ পানি রাখার বোতলেও দিয়েছে কিন্ত কি করা ২৪ ঘন্টাই যখন পানিতে থাকতে হয়। তখন কিছু অসুবিধা হবে এটা মেনেই চলতে হবে।
ভুয়াপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে চরাঞ্চলসহ ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় প্রায় দুই হাজার দরিদ্র মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানি মজুদ রাখার পাত্র বিতরণ করা হয়েছ এবং এসব ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত রয়েছে। ত্রাণ সহায়তা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানসহ সকল ধরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এবিষয় টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন ডা.মো.মিনহাজ উদ্দীন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট সরবরাহ করছি। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি টিমে সদস্য রয়েছে তিনজন করে।এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টিমের সাথে মেডিক্যাল অফিসার রয়েছে। যেকোন মুহূর্তের জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।