আপিল বিভাগের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে এক দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ কর্মসূচি শুরু হবে। বুধবার তৃতীয় দিনের মতো 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সড়ক ও রেলপথগুলো এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আমরা নির্বাহী বিভাগকে বলতে চাই অতি দ্রুত আমাদের দাবিটি মেনে নেন, যাতে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে যে পরিপত্র দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্ট সেটি বাতিল করেছে। আমরা এই আইনের প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের বারান্দায় যেতে চাই না। আমরা আমাদের রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা যে এক দফা দাবি জানিয়েছি সে ব্যাপারে সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আসতে হবে। একটি কমিশন গঠন করে এই কোটা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সব গ্রেডে আইন পাস করে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছি আমরা। ২০১৮ সালের পরিপত্রে কোনো কোটাই নেই। কোটা নিয়ে কয়েক বছর পরপর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও হাইকোর্ট সেটি অবৈধ ঘোষণা করতে পেরেছে। ত্রুটিযুক্ত পরিপত্র খেলার একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। এর স্থায়ী সমাধান তখনই হবে যখন জাতীয় সংসদ থেকে আইন পাস করে বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাহী বিভাগ যদি চায় তবে আজকে আমাদের শেষ সংবাদ সম্মেলন হবে।