পাবনার চাটমোহরে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুম থেকে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় দুই মুয়াজ্জিনকে আটক করেছে স্খানীয়রা। মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গলধোলাই দিয়ে অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং ওই নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পুরো উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন হলেন, বেজপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হাফেজ ফরহাদ হোসেন এবং তার সহযোগী একই ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) সকালে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে হাফেজ ফরহাদ হোসেন বেজপাড়া জামে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের জারদিস মোড় এলাকা থেকে উপজেলার ধরইল এলাকার জনৈক এক নারীকে (পতিতা) ২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে ফরহাদ হোসেন এবং নজরুল ইসলাম ভ্যান যোগে বেজপাড়া এলাকায় নিয়ে যান।
পরে রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা দু’জন ওই নারীকে (পতিতা) নিয়ে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুমে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে এবং বাইরে থেকে মসজিদের গেটে তালা দেয়। খবর পেয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং ওই নারীকে বাইরে বের করে আনেন। এরপর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। তারা দুই জনেই বিবাহিত। এমন ঘটনা তারা ঘটাবে এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। এদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, এমন ঘটনা আমি আমার চাকরি জীবনে কখনো পাইনি বা শুনিওনি। এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।