যুক্তরাষ্ট্রের স্পট বিট কয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড পণ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জেরে বিট কয়েনের দাম উঠেছে ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত। যা দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিট কয়েনের এই দাম উঠে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরের পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে বিট কয়েনের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হতে যাচ্ছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
এপ্রিল মাসে বাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সির সঞ্চালন কমে যাবে, সে কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন বিট কয়েনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। সেই সঙ্গে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার হ্রাস করবে বলে যে খবর চাউর হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা এখন যেসব সম্পদে বিনিয়োগ করে বেশি মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব সম্পদে বিনিয়োগ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চলতি বছরের শুরুতে ইটিএফের মাধ্যমে বিট কয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে প্রথাগত পদ্ধতিতে বিট কয়েনে বিনিয়োগ করতে পারছেন। বলা হচ্ছে, এই অনুমোদন ক্রিপ্টেকারেন্সির জগতে যুগান্তকারী ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে বিট কয়েনে প্রথাগতভাবে বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় মানুষও এতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হচ্ছেন।
ইটিএফের মাধ্যমে বিট কয়েনে বিনিয়োগের অনুমোদনের পর অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বিট কয়েনে বিনিয়োগ করছে। বিনিময় বেড়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি ইটিএফ, অর্থাৎ গ্রে স্কেল, ফিডেলিটি ও ব্ল্যাকরকের। গত সোম ও মঙ্গলবার এই ৩ ফান্ডের ১১০ মিলিয়ন বা ১১ কোটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
অন্যদিকে ক্রিপ্টো খাতের বিনিয়োগকারী মাইক্রো স্ট্র্যাটেজি সম্প্রতি ৩ হাজার বিট কয়েনে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। এরই সাথে সামাজিক মাধ্যম রেডিট ক্রিপ্টো জগতে প্রবেশ করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কয়েনবেস গ্লোবাল বলেছে, তাদের এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগ বেড়ে গেছে।