‘বাহুবলি’ সিরিজে আগুনভরা চোখ আর গর্জনমুখর সংলাপে যাঁর প্রতি দর্শক ভালোবাসা দেখিয়েছিল, সেই প্রভাস এবার ফিরছেন ভিন্ন এক চরিত্রে। তাঁর পরবর্তী সিনেমা ‘স্পিরিট’-এ তাঁকে দেখা যাবে এক কঠোর, বেপরোয়া পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায়—যেখানে দায়িত্ববোধ ও ব্যক্তিগত আসক্তির মাঝের সীমারেখা ক্রমেই মুছে যায়।
ছবিটি পরিচালনা করছেন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা, যিনি এর আগে ‘অর্জুন রেড্ডি’, ‘কবীর সিং’ ও ‘অ্যানিমাল’-এর মতো চলচ্চিত্রে পুরুষ চরিত্রের জটিল মনস্তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘স্পিরিট’-এও দেখা যাবে একটি আবেগঘন ও দ্বন্দ্বপূর্ণ চরিত্র। বিশ্লেষকদের মতে, এমন একটি গভীর চরিত্র প্রভাসের জন্য সময়োপযোগী হতে পারে।
গত কয়েক বছরে প্রভাস অভিনীত ছবি গুলোতে মিশ্র সাড়া পাওয়া গেছে। ‘সাহো’ দর্শক আকর্ষণ করলেও সমালোচনার মুখে পড়ে। ‘রাধে শ্যাম’ ও ‘সালার’-এ তাঁর উপস্থিতি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, আর ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’-তে প্রযুক্তিনির্ভর উপস্থাপনার আড়ালে প্রভাসের পারফরম্যান্স অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায়। সেই প্রেক্ষাপটে, ‘স্পিরিট’ সিনেমাটিকে ধরা হচ্ছে প্রভাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে।
ছবিটির নারী প্রধান চরিত্রে থাকছেন ‘অ্যানিমাল’-এর অভিনেত্রী তৃপ্তি ডিমরি। দীপিকা পাড়ুকোনের পরিবর্তে এই ভূমিকায় আসা তৃপ্তির জন্য একটি বড় দায়িত্ব। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো বড় সাফল্য না পেলেও, পরিচালক সন্দীপ রেড্ডির সঙ্গে এই নতুন যাত্রা তাঁকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বর্তমানে ছবিটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। দর্শক ও ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন একটি প্রশ্নই—প্রভাস কি আবারও তাঁর আগের জনপ্রিয়তা ফিরে পাবেন?