ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের যে ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে সিংড়া উপজেলায় আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতৃবৃন্দদের সংবর্ধনা এবং মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের প্রাঙ্গণে আমাদের বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্যাস্ত যায়। সেই ডু্বন্ত সূর্য আমাদের বাংলার আকাশে উদীত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সহ সেই সময় সকলের মতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমাদের সামনে তিনি যে নীতি, আদর্শ রেখে গেছেন তা আমাদের আওয়ামী লীগের কর্মীদের চলার পথে পাত্র।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ১৫ বছরে ২১ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। তিনি বার বার গ্রেনেডের মুখোমুখি হয়েছেন।
কিন্তু তিনি কখনও অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও নিজের জীবনের পরোয়া করেনি। পরিবারের মায়া ত্যাগ করে দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য আন্দোলন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন।
পলক আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে আমাদের নাটোরের প্রয়াত স্বগীয় বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরি বার বার শারীরিক ভাবে আহত হয়েছেন, লাঞ্চিত হয়েছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
শহীদ রফিকউদ্দিন সরদার, শহীদ মমতাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী চাচা সহ হাজার হাজার নেতাকর্মী বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রেখেছেন। নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু সংগঠন বেঁচে থাকবে আদর্শের মাধ্যমে।
সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন ব্যক্তিকে মরণোত্তর সম্মাননা এবং প্রবীণ ৬৩ জনকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।