ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জামানত রক্ষার জন্য প্রাপ্ত ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট।
বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৭১টি কেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাইল।
তিনি বলেন,' নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কাস্ট ভোটের একভাগের কম হলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। কোম্পানীগঞ্জে ৭৫ হাজার ২শ ৭৭ ভোট কাস্টিং ভোটের মধ্যে শাহাদাত হোসেন ৪ হাজার ৬১০ ভোট পেয়েছেন। এটা কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম। যার কারণে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।'
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০ টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।
নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ (আট ভাগের একভাগ) ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ন্যূনতম ১১ হাজার ২৮৪ ভোট। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া জামানতের টাকা হারাতে হয়েছে।