ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় মোংলা উপকূলে সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকে ঘণ্টাব্যাপী মোংলার পশুর বিভিন্ন স্থানে এ প্রচার মাইকিং করা হয়।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, মোংলা কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. মুনতাসীর ইবনে মহসীন জানান, সকাল থেকে সুন্দরবন লাঘোয়া মোংলা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোংলার কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. মুনতাসীর ইবনে মহসীন বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবার পূর্বাভাস রয়েছে।
এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহ কে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবন উপকূলের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্টেশন এবং আউটপোস্ট সমূহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টার স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।