দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হয়েছে। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এই তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। টেলিভিশন ও রেডিওতে জাতির উদ্দেশে তিনি সরাসরি ভাষণ দেবেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
রীতি অনুযায়ী বরাবরই সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তবে সেই ভাষণটি আগে থেকেই রেকর্ড করে রাখা হয়। নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে সেটি প্রচার করা হয়। তবে এবারই প্রথম রেকর্ডেড ভাষণ প্রচারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন সিইসি। ইসি সচিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, সিইসির জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছরও রীতি অনুযায়ী সিইসির ভাষণ রেকর্ড করেই গণমাধ্যমে প্রচারের পক্ষে মত এসেছিল ইসির বেশির ভাগ অংশ থেকে। তবে অন্য একটি অংশ ভাষণ রেকর্ড না করে সরাসরি সম্প্রচারের পক্ষে অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত রীতি ভেঙে সরাসরি প্রচারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এরই মধ্যে তার ভাষণের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছেন বলেও জানিয়েছে ইসির ওই সূত্র।
এদিকে সিইসির জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে আজ বুধবার বিকেল ৫টায় ২৬তম কমিশন সভায় বসবে ইসি। ওই সভাতেই তফসিলের বাকি বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হবে।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছিল ওই বছরের ৮ নভেম্বর। ওই সময়কার সিইসি কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করেন। ওই ভাষণটিও আগে থেকেই রেকর্ড করা ছিল।
তবে গত নির্বাচনের আগে প্রথম তফসিলে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর। পরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবির মুখে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করেন ওই সময়ের সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
এদিকে সাধারণত তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় হাতে রাখা হয়। গত বছর প্রথম তফসিলে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ৪৫ দিন হিসাব করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর পুনঃতফসিলের দিন থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সময় রাখা হয়েছিল ৪৯ দিন।
ইসির সূত্রগুলো বলছে, এবার এই সময় হতে পারে ৫২ থেকে ৫৩ দিন। সে হিসেবে ভোট হতে পারে ৬ বা ৭ জানুয়ারি।