দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে দেওয়া সাজা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা দুইজনই মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২৬ মে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল এবং জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
এর আগে, ১৪ মে হাইকোর্ট ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তার জরিমানার আদেশ স্থগিত করে জামিন দেন। মামলায় আপিল দাখিল করতে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব হয়েছিল, যা আদালত ক্ষমা করে দেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে দু’টি ধারায় মোট নয় বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। সঙ্গে জরিমানাও ধার্য করা হয়। পরবর্তীতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজার কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত হয়।
ডা. জুবাইদা রহমান ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে ফিরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।