নেইমার; যতটা না তিনি আলোচনায় থাকেন তার ফুটবল শৈলীর কারণে। তার চেয়ে বেশি তিনি আলোচনায় আসেন চোট ও নারী ঘটিত বিষয়ে। এবার চোট ও নারী ঘটিত দুই বিষয়েই আলোচনায় এসেছেন নেইমার।
ঘটনা সোমবারের। যেখানে ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তার সেমিফাইনালে চোটের কারণে সান্তাসের হয়ে মাঠে নামেননি নেইমার। দলের মহাগুরত্বপূর্ণ ম্যাচে নেইমারের না থাকার বড় খেসারত চুকাতে হয়েছে সান্তোসকে করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে। এর পরপরই আলোচনায় নেইমার।
ম্যাচে মাঠে না নামলেও বেঞ্চে বসে দলের হার দেখেছেন তিনি। যা নিয়েই এবার নেইমারকে নিজ দেশে ধুয়ে দিচ্ছে ক্লাবটির সমর্থকরা। যেখানে চোট নিয়ে এক সপ্তাহ আগে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টিও সামনে এনেছেন ভক্তরা।
ঘটনার শুরু মূলত, নেইমারের এক ভিডিওকে কেন্দ্র করে। যেখানে দলের হয়ে ম্যাচ খেলতে না পেরে কষ্টে কান্নার একটি ভিডিও দেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। কেননা, সেমিফাইনালের আগে গত সপ্তাহে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে কার্নিভ্যাল দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
৩ মার্চ সান্তোস-ব্রাগানতিনো ম্যাচে বদলি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নেইমারকে দেখা যায় কার্নিভ্যাল প্যারেডে। চোটশঙ্কা নিয়ে নেইমারের পার্টিতে যাওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না অনেকেই। নেইমারের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থকরা।
দেশটির জনপ্রিয় লেখক কাসাগ্রান্দে জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সে সেমিফাইনালের বদলে কার্নিভ্যালকে বেছে নিয়েছে। নেইমারের গত পাঁচ বছরের আচরণ আবার ফিরেছে। সে নিজের মজা ও আনন্দের জন্য পেশাদারির দিকও বদলে ফেলে।’
এক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘সে কখনো বদলাবে না।’ আরেক জন লিখেছেন, ‘চোট নিয়ে নেইমারের কার্নিভ্যালে যাওয়া তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’ আরেকজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সে কখনোই বদলাবে না। অথচ বার্সা সমর্থকেরা তাকে দলে ফেরাতে চায়।’
এদিকে বিতর্কের মুখে নিজের চোট নিয়ে নেইমার লিখেছেন, ‘আমি যেকোনো মূল্যে মাঠে থাকতে চাই এবং দলকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আমি অস্বস্তি বোধ করি, যা আমাকে মাঠে নামা থেকে বিরত রেখেছে।’