বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) আবারও সিরিয়াকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০১২ সালে গৃহযুদ্ধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে স্থগিত হওয়া এই সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ওআইসি’র ২০তম জরুরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভায় গৃহীত হয়। এর ফলে সিরিয়া আবারও মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনে যুক্ত হলো।
গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ওআইসি’র সদর দফতর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের (সিএফএম) জরুরি সভায় সিরিয়ার সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হয়। ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা একে ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সহায়তা করবে এবং দেশটির রাজনৈতিক উত্তরণের পথ সুগম করবে।
ওআইসি মহাসচিব আরও বলেন, সিরিয়ার সদস্যপদ পুনর্বহাল দেশটির আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে। ওআইসি’র লক্ষ্য ও নীতিমালা বাস্তবায়নে সিরিয়াকে পূর্ণ সহযোগিতা করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি। সিরিয়ার সদস্যপদ পুনর্বহালের ফলে দেশটি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমন, সাধারণ নাগরিকদের ওপর সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ওআইসি দেশটির সদস্যপদ স্থগিত করেছিল। দীর্ঘ এক দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পর সিরিয়া এখন পুনরায় মুসলিম বিশ্বে তার অবস্থান ফিরে পেল।
সিরিয়ার ওআইসি সদস্যপদ পুনরুদ্ধার শুধু দেশটির জন্য নয়, বরং গোটা মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয়, সিরিয়া এই নতুন সুযোগকে কিভাবে কাজে লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের পথে এগিয়ে যায়। তথ্যসূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন
