সৌম্য সরকারের বলে ছক্কা মেরে ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পরের বলটিও উড়িয়ে মারেন ছক্কা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রায় ছয় বছর ও ৫৯ ইনিংস পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাবের এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে জিতেছে তার দলও। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শুক্রবার সেঞ্চুরি হয়েছে আরও দুটি। সেঞ্চুরি মিস হয়েছে অন্তত পাঁচটি। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ব্যাটার মাহফুজুল ইসলাম (১১৪) ও মিজানুর রহমান (১৩৬) জোড়া সেঞ্চুরি করে শাইনপুকুরের বিপক্ষে তাদের দলকে জিতিয়েছেন। ব্রাদার্সের পেসার আল আমিন হোসেন নেন পাঁচ উইকেট। মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাইফ হাসান (৯৫) ও আফিফ হোসেন (৯৮), শাইনপুকুরের রহিম আহমেদ (৯৫), অগ্রণী ব্যাংকের অমিত হাসান (৮৯) ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারসের সাদিকুর রহমান (৮৯) তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে গিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ইয়াসির করেন ১২১ বলে ১৪৩ রান। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস সাজান তিনি সাতটি করে চার-ছক্কায়। লিস্ট-এ ক্রিকেটে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। জিয়াউর রহমানের ১৮ বলে ৪০ রানে ধানমন্ডি সাত উইকেটে ৩৩২ রান করে। জবাবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাইফ পাঁচ রানের জন্য এবং আসিফ দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। তাদের দল হারে ২৪ রানে।
রহিম আহমেদের ব্যাটে ভর করে শাইনপুকুর নয় উইকেটে ২৮৮ রান করে। ব্রাদার্সের আল আমিন হোসেন পাঁচ উইকেট নেন। জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হয়নি। মাহফুজুল ও মিজানুর জোড়া সেঞ্চুরি করে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে সাত উইকেটের জয় এনে দেন। দেশের লিস্ট-এ ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেটে কাল প্রথম আড়াইশ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন মাহফুজুল ও মিজানুর।
আগের ম্যাচে জয় পাওয়া অগ্রণী ব্যাংকের ইমরুল কায়েস (৫০) ও অমিত হাসানের (৮৯) হাফ সেঞ্চুরিতে তাদের দল ২১৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে সাদিকুর (৮৯) ও তোফায়েল আহমেদের (৫২) হাফ সেঞ্চুরিতে চার উইকেটের জয় পায় গাজী গ্রুপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শাইনপুকুর ও ব্রাদার্স
শাইনপুকুর ২৮৮/৯, ৫০ ওভারে (অনিক সরকার ৪০, মোহাম্মদ রহিম আহমেদ ৯৫, রায়ান রাফসান রহমান ৪৭। আল আমিন হোসেন ৫/৫০)। ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯২/৩, ৪৮.৫ ওভারে (মাহফিজুল ইসলাম ১১৪, মিজানুর রহমান (রিটায়ার্ড হার্ট) ১৩৬। মোহাম্মদ রহিম আহমেদ ২/৪৩)।
ফল : ব্রাদার্স ইউনিয়ন সাত উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মিজানুর রহমান (ব্রাদার্স)।
অগ্রণী ব্যাংক ও গাজী গ্রুপ
অগ্রণী ব্যাংক ২১৬/১০, ৪৬.২ ওভারে (ইমরুল কায়েস ৫০, অমিত হাসান ৮৯। আবদুল গাফফার সাকলাইন ৩/৩৫)।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২২০/৬, ৪৭.৪ ওভারে (সাদিকুর রহমান ৮৯, তোফায়েল আহমেদ ৫২, শামসুর রহমান ৩৮। রবিউল হক ২/৩৩)।
ফল : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তোফায়েল আহমেদ (গাজী গ্রুপ)।
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ৩৩২/৭, ৫০ ওভারে (ইয়াসির আলী ১৪৩, মঈন খান ৬২, জিয়াউর রহমান ৪০। তানভির ইসলাম ৩/৫০)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩০৮/৯, ৫০ ওভারে (সাইফ হাসান ৯৫, আফিফ হোসেন ৯৮, রেজাউর রহমান ৪৯*। মঈন খান ৩/৪০)।
ফল : ধানমন্ডি স্পোর্টস
ক্লাব ২৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইয়াসির আলী (ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব)।