ঢাকার আদালতে কাঠগড়ায় তোলার পর আইনজীবীর ওপর মেজাজ হারান ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম। যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় তাকে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহর আদালতে নেওয়া হয়।
এদিন সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১০টা ৬ মিনিটে পুলিশ প্রহরায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করা হয়। আদালতে নেওয়ার পর সেলিমের হেলমেট খুলে দেয় পুলিশ। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের আইনজীবীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। এ সময় মেজাজ হারিয়ে তিনি নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। মাঝেমধ্যে নিজের হাতের আঙুল দিয়ে বিভিন্ন কিছু বুঝানোর চেষ্টা করেন। আইনজীবী তার এসব অঙ্গভঙ্গি বুঝার চেষ্টা করেন।
পরে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তখন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ ৫ মিনিট কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কাঠগড়ায় তার আইনজীবী দুই পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ তাকে পড়তে দেন। পরে ১০টা ৩৮ মিনিটে ফের পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, পটুয়াখালীর পায়না বন্দরে সংলগ্ন এলাকায় তার মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি রয়েছে। এই জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার খবরটি তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও সাড়ে ১০ একর জমি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হবে, এই তথ্যও তাকে কাগজে লিখে জানানো হয়েছে।
সেলিম কেন বিরক্ত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি কারাগারে তেমন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি কথা বলতে পারেন না। এমনকি তার কথাও কেউ বুঝতে পারে না। এসব কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের তো এখন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ সুবিধার বিষয়টি দেখছি।