ঢাকা | |

উত্তর-পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য গ্রেফতার

উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিএম) আচার্য মাহবুবুল হককে গ্রেফতার করেছে প্রতিবেশী আসাম রাজ্যের পুলিশ।
  • আপলোড সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৫:৫৫ সময়
  • আপডেট সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৫:৫৫ সময়
উত্তর-পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য গ্রেফতার ছবি : সংগৃহীত
উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিএম) আচার্য মাহবুবুল হককে গ্রেফতার করেছে প্রতিবেশী আসাম রাজ্যের পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বিজেপি-শাসিত আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাম্প্রতিক আক্রমণের মুখে গ্রেফতার হলেন মাহবুবুল হক।

মাহবুবুল হককে গ্রেফতারের বিষয়ে আসামের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী রনজ পেগু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে এ স্কুলের ছাত্রদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে তারা তৎপরতাও চালায়। বহিরাগত পরিদর্শকেরা এর বিরোধিতা করেন। তখন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, কেন্দ্রটিতে যে ২৭৪ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে ২১৪ জন এখানে বিশেষ কোচিং নিয়েছিলেন। অভিযোগ হলো, তাদের পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে ইউএসটিএম কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল। এ অভিযোগের জেরে মাহবুবুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

আসাম সরকারের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে ইউএসটিএমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সূত্র। তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, কয়েক বছর ধরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আচার্য মাহবুবুল হককে সরিয়ে দিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

ইউএসটিএম উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। মাহবুবুল হক বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকও। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শ্রেষ্ঠ ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় পরপর তিন বছর জায়গা হয় ইউএসটিএমের।

গত সপ্তাহে বিশ্বশর্মা ইউএসটিএমকে একটি ‘জালিয়াত’ বিশ্ববিদ্যালয় বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ইউএসটিএম যে সনদ ও ডিগ্রি দেয়, তা ভুয়া। অবশ্য এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে মন্তব্য করা হয়।

আচার্য মাহবুবুল হক বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করার পর এটি উত্তর-পূর্ব ভারতে সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। মূলত বাঙালি মুসলমানরাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শুরু করেন। তবে অনেক হিন্দু ছাত্রছাত্রীও আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি মেঘালয় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছ থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কাজের জন্য ইতিমধ্যে সনদ পেয়েছে।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
হামাসের বিরুদ্ধে হঠাৎ গাজাবাসীর নজিরবিহীন বিক্ষোভ

হামাসের বিরুদ্ধে হঠাৎ গাজাবাসীর নজিরবিহীন বিক্ষোভ