বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনেই দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সদস্য দেশ হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া সম্মেলনের সাইড লাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির একটি বৈঠকও হতে পারে। বৈঠকের বিষয়টি কোন সূত্র নিশ্চিত না করলেও প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংককে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি আছে। কোনো কিছু চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এপ্রিলে ব্যাংককে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৪ এপ্রিল এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে বিমসটেকের আগামী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেবে বাংলাদেশ। থাই প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূস বলেন, তিনি সংগঠনের পরিকল্পিত শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল ঘটার পর ছয় মাস কেটে গেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কেও দেখা গেছে অবনতি। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিয়ে ভারতে অবস্থান ও সেখান থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি প্রদানও দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হওয়ার কারণ। গত ছয় মাসে দুই দেশের হাইকমিশনারকে একাধিকবার তলবের ঘটনা ঘটেছে। কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা। কিন্তু নয়াদিল্লি এখনও সেই পত্রের উত্তর দেয়নি। গত সপ্তাহে হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় ভাঙচুর চালায় ছাত্র-জনতা। ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে হাসিনাকে থামানোর বার্তা দেওয়া হয়। দিল্লির বাংলাদেশি দূতকেও পাল্টা তলব করে ভারত।
সাম্প্রতিককালে স্বাভাবিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছে দুই দেশই। ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকেও সম্পর্ক স¦াভাবিক রাখার বার্তা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের তরফে ইতোমধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের তরফেও বলা হয়েছে, সাম্যের ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে ঢাকা। আরও বলা হয়েছে, শুধু একটি ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আটকে থাকবে না।
সূত্র: আমাদের সময়