ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্যে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখাতে চেয়েছে ভারত। তারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে ভারতে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড তারই ফল। ভারতের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশটির সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই।’ যতদিন বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র না হবে, ততদিন রাজপথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের হাতে বাংলাদেশিদের খুন কোনও নতুন ঘটনা নয়। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে একের পর এক খুন করেই গেছে। অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তারা এই দেশকে করদরাজ্য বানিয়ে রেখেছিল। গত ৫৪ বছরে ভারতের আধিপত্যের কারণে যত খুন হয়েছে তার সবগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের স্বাধীনতা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন তাহলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশটির পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।