বান্দরবানের লামায় সরকারি জায়গায় প্রকল্পবিহীন পুকুর সংস্কারের নামে একপক্ষকে বিনা নোটিশে রাতের আধাঁরে উচ্ছেদ ও আরেক পক্ষকে সমোঝতার মাধ্যমে সরকারি জায়গা দখলে রাখতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একমাস ধরে পুকুর খননের কাজটি করছেন খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই। এর মধ্যে অজানা কারণে সরকারি পুকুরের জায়গা দখলমুক্ত না করে আওয়ামিলীগ নেতা ও প্রভাবশালীদের গাইডওয়াল করতে অনুমতি দিয়েছেন ইউএনও। শুধু তাই নয় গাইডওয়াল নির্মাণের সব সিমেন্ট সরবরাহ করেছেন ইউএনও।
তারা আরও বলেন, ইউএনও আমাদের রান্নাঘর উচ্ছেদ না করতে সমঝোতায় আসতে বলেছে, তবে কি ধরনের সমঝোতা তা বলেনি। কোন প্রকার নোটিশ ও দেয়নি।
এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করে বলেন, তাকে ইউএনও বলেছেন পুকুরের চারপাশে সবাই দখল করে রেখেছে। সবাই সমঝোতায় এসেছে, আমাকেও সমঝোতা করতে না হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে। কি কারণে একপাশে উচ্ছেদ না করে, আরেকপাশে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করেছে।
ভেকুর চালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ পুকুর খনন ও সংস্কারের কোন লিখিত অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি। সরাসরি ইউএনও কাজটি করছেন। তিনিই নিজেই ঠিকাদার। যা কথা বলার ইউএনও স্যারের সাথে বলুন। পৌরসভা, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুকুর খননে বর্তমানে সরকারি কোন প্রকল্প নেই।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারি টাকা বাঁচাতে দখলদারদের গাইডওয়াল নির্মাণ করতে বলেছি, আমি নিজেও সিমেন্ট দিয়ে সহযোগিতা করেছি। সরকারি ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে কাজটি শেষ করা হবে। এখনও কোন প্রকল্প নেওয়া হয়নি তবে নেওয়ার জন্য পৌরসভা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ চলছে বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি বিষয়টি আমি দেখছি।