আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে ভারতের ধনকুবের শিল্পপতি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। ভারতের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের ২০২৯ কোটি রুপি ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঘুষ দেয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকশ’ কোটি ডলারের প্রকল্প বাগিয়ে নেয়ায় অভিযুক্ত গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত।
এ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন ভারতের এই ধনকুবের। তবে এর মধ্যেই আরও এক দুঃসংবাদ পেলো আদানি গ্রুপ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
দানি গ্রুপ কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দরে এক দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী, তারা সেটি ৩০ বছরের জন্য পরিচালনা করবে। এ ছাড়া দেশটির বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ৭৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও একটি চুক্তি ছিল। পরিবহন এবং জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে দশেটরি সরকার।
এদিকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি ও বকেয়া অর্থ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখার আদেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত।
তবে, গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে, বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে বলেছেন, আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযোগের পর, আলোচনার জায়গা খুব সম্ভবত কমে যাবে। ফলে বিদ্যুতের দাম পুননির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র চাপে পড়বে আদানি গ্রুপ।
এদিকে আদালত যেহেতু আদানির সঙ্গে চুক্তি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ এখন পুরো চুক্তিটি পর্যালোচনা করতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।