জানুয়ারিতেই বিক্রি হবে ইসলামী ব্যাংকের এস আলমের জব্দ করা শেয়ার। এজন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে আগামী সপ্তাহে মামলা করা হবে আদালতে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
এ সময় তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য আগের উদ্যোক্তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকে বিনিয়োগ সবার জন্য উন্মুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ২০১৭ সালে দখলের পর ঋণের ৮০ শতাংশ নিয়েছে এস আলম। ১৭টি শাখার ৪৫ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসব অর্থ তুলে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। যার প্রকৃতি চিত্র পাওয়া যাবে চলমান অডিটের পর।
ইসলামী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্রও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। ৩ মাসে আমানত বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। কমেছে চলতি হিসাবে থাকা ঘাটতির পরিমাণও। তবে নতুন কোনও ঋণ দেয়া হচ্ছে না। আমানত ও ঋণের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি। এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে জানান ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান।
অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থ আদায়ের উদ্যোগ নেবে ইসলামী ব্যাংক। যদিও পুরো অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন গভর্নর। এস আলম কিংবা বেক্সিমকো গ্রুপেরই কোনও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না বলে ফের নিশ্চিত করেছেন আহসান এইচ মনসুর।