নবনির্বাচিত দ্বিতীয় বারেরমত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । যুক্তরাষ্ট্রের অন্য প্রেসিডেন্টদের তুলনায় তিনি অনেক ধনী। হোয়াইট হাউসে বসবাসকারীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সম্পদশালী। নভেম্বর, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ফোবর্স তাঁর মোট সম্পদের পরিমান জানায় $৫.৫ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮ শত ২৭ কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেক্টরাল ভোট পান এবং ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৫ টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। জানুয়ারীতে শপথ গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছেন জো বাইডেন। তার মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র দের মাস।
ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব, লেখক হিসেবে আলোচিত। তিনি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যানের পরিচালক এবং ট্রাম্প এন্টারটেইনম্যান্ট রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ হল ডিজেটি ইউএস ইক্যুইটিতে নিজের শেয়ার। ৭৮ বছর বয়সে, ট্রাম্পের সম্পদ প্রাথমিকভাবে রিয়েল এস্টেট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ল্যান্ডস্কেপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রায় ৫৭% ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের মালিক, যা টিকার ডিজেটির অধীনে ব্যবসা করে। সম্প্রতি, এর বাজারদরে নাটকীয় ওঠানামা দেখা গেছে। ২৯ অক্টোবর, ২০২৪-এ ট্রাম্পের শেয়ারের মূল্য প্রায় $৫.৯ বিলিয়ন ছিল।
২০২৪ সালে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই প্রথমে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং সেই সাথে নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ড থেকে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার এক চিঠিতে তিনি বলেন “দুই দেশের অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ রয়েছি।”
নির্বাচনী প্রচারনায় নেমে ট্রাম্পকে বার বার বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফিরলে তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ এবং হানাহানি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেবেন। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি করাবেন। তিনি প্রেসিডেন্টের গদিতে থাকলে এত প্রাণ যেতে দিতেন না। অনেক আগেই দুই দেশের সমস্যা মিটিয়ে দিতেন।
ট্রাম্পের সম্পদ মূলত রিয়েল এস্টেট থেকে আসে। এটি একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য বললেও ভুল হয় না, যা তিনি তার বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের সাথে কাজ করার পর শুরু করেছিলেন। ট্রাম্পের হোল্ডিংয়ের মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো, ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ার এবং আমেরিকার ১২৯০ অ্যাভিনিউতে $৫০০ মিলিয়ন শেয়ারের মতো হাই-প্রোফাইল সম্পদ। ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরাল মিয়ামি গল্ফ রিসর্টও তার মূল সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, যার মূল্য $৩০০ মিলিয়ন।
সাম্প্রতিক আর্থিক ক্ষেত্রগুলো, যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এনএফটিগুলোর মতো ডিজিটাল সম্পদগুলোও ট্রাম্পের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে জানান দেয়। ২০২৩ সালে, তিনি এনএফটি লাইসেন্সিং থেকে $৭.২ মিলিয়ন উপার্জন করেছেন এবং তার প্রায় $৫ মিলিয়ন ভার্চুয়াল সম্পদ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি নিজের নামে লাইসেন্স অব্যাহত রেখেছেন, যা গায়ক লি গ্রিনউডের সঙ্গে অনুমোদিত $৫৯.৯৯ বাইবেল থেকে $৩০০,০০০ উপার্জন করেছে। তার বই, লেটার্স টু ট্রাম্প, $৪.৫ মিলিয়ন এনে দিয়েছে, দ্য অ্যাপ্রেন্টিস এবং তার ক্লাসিক বই দ্য আর্ট অফ দ্য ডিল থেকে রয়্যালটি আরও আয় যোগ করেছে।