মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহকদের জন্য সুখবর এসেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গ্রাহকের স্বার্থে মোবাইল ইন্টারনেটে পূর্বে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। ফলে অপারেটররা ইচ্ছামতো ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে এবং গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভলিউম ও মেয়াদ বেছে নিতে পারবেন। বিটিআরসি আশা করছে— এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের দাম কমবে।
২০১৩ সালে থ্রিজি সেবা চালুর পর মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেট সেবা দিতে শুরু করে। তখন থেকে বিটিআরসির অনুমোদনে বিভিন্ন মেয়াদের ডাটা প্যাকেজ অফার করা হচ্ছিল। তবে গত বছর গ্রাহকদের বিভ্রান্তি ও অপারেটরদের ডাটা কারসাজি ঠেকাতে বিটিআরসি প্রথমবারের মতো হস্তক্ষেপ করে, যার ফলে ৩১২টি প্যাকেজকে কমিয়ে ৯৫টিতে নিয়ে আসা হয়।
২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর আবারও গ্রাহক অভিযোগের কারণে তিন দিনের এবং ১৫ দিনের মেয়াদ বাদ দেওয়া হয়, ফলে প্যাকেজের সংখ্যা নেমে আসে ৪০টিতে। এ নিয়ে কোম্পানিগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়নি।
তবে এখন বিটিআরসি সেই বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে, যা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করবে। বিটিআরসির পরিচালক (এসএস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান জানান, গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে, যা তাদের জন্য গুণগত সেবা ও দাম বাড়াবে।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, নতুন নির্দেশনার ফলে গ্রাহকরা ডাটা কেনার ক্ষেত্রে আরও স্বাধীনতা পাবেন। রবির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন নির্দেশনা আসার আশা করছেন, যা তাদের নতুন পণ্য ডিজাইন করতে সাহায্য করবে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, গ্রাহক যদি তার প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাকেজ কিনতে পারে, তবে এটি অবশ্যই তার জন্য ভালো হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১২.৫ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে।