কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর উপর নির্মিত ফুলবাড়ী সেতুর উপরে রাতে এক ভয়াবহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সেতুর উপরের লাইটের পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ছিনতাইকারীদের চিনতে পারেনি ছিনতাইয়ের শিকার আসাদুল ইসলাম আসাদ (৩০)।
এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা ঔষুধ কোম্পানীর কর্মচারী আসাদুল ইসলাম আসাদকে মারধর ও গলায় ছুঁিড় চালিয়ে তার কাছে থাকা ঔষুধ বিক্রিরা ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আসাদুল ইসলাম আসাদ আহত হয়ে এখন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত আসাদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর শিবেরকুটী গ্রামের মৃত-আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী লিঃ এর কর্মচারী। তার কাজের এড়িয়া হচ্ছে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার।
ফুলবাড়ী সেতুর পশ্চিম পাড়ে একটি পুলিশ বক্্র থাকার পরও রাতের বেলা এই ছিনতাইয়ের ঘটনটি এলাকায় আতঙ্ক ও তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী সেতু পাড়ে প্রশাসনিক নজর দাবি করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ছিনতাইয়েরে শিকার আহত আসাদুল ইসলাম আসাদ বাদী হয়ে ফুলাবাড়ী মামলা দায়েরর জন্য অভিযোগপত্র দিয়েছে।
জানা গেছে, আসাদুল ইসলাম আসাদ ১ নভেম্বর শুক্রবার ফুলবাড়ী উপজেলায় ওষুধ বিক্রির ৯০ হাজার টাকা নিয়ে রাত ১ টার দিকে ফুলবাড়ী সদরের জিরোপয়েন্ট অটো স্ট্যান্ড অটো রিকশায় উঠে বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রহনা হন।
চালকসহ অটোরিকশায় থাকা ৪ যাত্রীসহ আসাদুল ইসলাম ফুলবাড়ী বাজার থেকে রহনা হয়ে ধরলা নদীর ফুলবাড়ী সেতুর মাঝা মাঝি স্থানে পৌঁছিলে অটোরিকশার চালকসহ যাত্রী বেশে থাকা ৪ যুবক ওষুধ কর্মচারী আসাদুল ইসলাম আসাদের প্যান্টের পকেটে থাকা ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়ার চাপ দেয়।
এতে আসাদুল ইসলাম তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৪ ছিনতাইকারী তাকে মারধর করে এবং টাকা না দিলে তাকে হত্যা করার হুমকী দিয়ে তার গলায় ছুঁড়ি চালায়। এ সময় আসাদুল ভীত হয়ে পড়লে ছিনতাইকারীরা তার প্যান্টের পকেট থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আসাদুলকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে অটোরিকশা যোগে পালিয়ে যায়।
আসাদুল ইসলাম আসাদের চাচাতো সুজন মিয়া জানান, আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরে আহত আসাদুল ইসলামকে উদ্ধার করে গভীর রাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। ছিনতাইকারীতের ছুঁড়িটি ধারালো বেশি হলে আসাদুল ভাইকে আমরা ফিরে পেতাম না। তার গলা শরীর থেকে আলাদা হতো।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা আইনি সহযোগীতা পেতে ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে শনিবার দুপুরে আসাদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র ফুলবাড়ী থানায় জমা করেছি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এখন থেকে ধরলা নদীর ফুলবাড়ী সেতুর উপরে পুলিশি নজরদারী কঠোর করা হবে। সেতুর পশ্চিম মাথায় পুলিশ বক্সের নিয়মিত পুলিশ টহল আরও জোড়দার থাকবে।