চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান।
নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। নিহতের ১৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছেন।
শিলা খাতুনের বড় ভাই বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের চলছিল। বোনের স্বামী রাসেল আমাকে বলেছিল ডিভোর্স দিতে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে এ কারণে এখনি ডিভোর্স দেব না। অপরদিকে বোন শিলা আমাদের জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করে। তাই আমরা যেন নিজেরাই ডিভোর্স দিয়ে দেই।
তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাত ৪টার দিকে আমাকে রাসেল কল করে বলে তোমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও চলে গেছে। সকালে বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে রেললাইনের ওপর ভিড় দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। শরীরে ধারাল অস্ত্রের জখম রয়েছে। আমার বোনকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির চাই।
নিহত শিলা খাতুনের মা আফিরন নেছা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে জামাই আমার মেয়েকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবল কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের ভাই জানিয়েছেন, রাতে শ্বশুরবাড়িতে কোন বিষয়ে শিলা খাতুনের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। সকালে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তার শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।