ঢাকা | |

একটু বৃষ্টিতে ভিজলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন? চাঙ্গা থাকুন এই উপায়ে...

বৃষ্টিতে না ভিজেও অনেকেই মেঘলা দিনে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে ভুগে থাকেন। সাধারণত বৃষ্টিতে ভিজলে বুকে
  • আপলোড সময় : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১০:১১ সময়
  • আপডেট সময় : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ১০:১১ সময়
একটু বৃষ্টিতে ভিজলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন? চাঙ্গা থাকুন এই উপায়ে...
বৃষ্টিতে না ভিজেও অনেকেই মেঘলা দিনে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে ভুগে থাকেন। সাধারণত বৃষ্টিতে ভিজলে বুকে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সৃষ্টি হয়। আবার কারও কারও আলার্জির কারণে শুধু হাঁচি-কাশি হয়ে থাকে।

কী কী লক্ষণ?
অনবরত নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ থাকা, হাঁচি, গলাব্যথা ও কাশি এ রোগের লক্ষণ। স্বল্পমাত্রার জ্বরও থাকতে পারে। বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসার বড় কারণ ভেজা কাপড় গায়ে শুকিয়ে যাওয়া। জ্বরের সঙ্গে সামান্য সর্দি থাকতে পারে। সাধারণ সর্দি-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা উভয়ই ভাইরাসজনিত রোগ। তাই উপসর্গগুলোও একই রকম হয়ে থাকে।

চিকিত্সা
ভয়ের কিছু নেই। এই সর্দি-জ্বর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজ থেকেই সেরে যায়। সাধারণত সর্দি, কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। উপসর্গজনিত কিছু চিকিত্সার মাধ্যমে কষ্ট কিছুটা কমানো সম্ভব। এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। সর্দি-কাশির সঙ্গে যেহেতু অল্প জ্বর এবং শরীরে, মাথায় বা গলায় ব্যথা থাকে তাই ব্যথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ যথেষ্টই কার্যকর। নাক বন্ধভাব এবং নাকে পানি ঝরার কারণে ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কফ সিরাপ সাধারণ সর্দি-কাশিতে তেমন কোনো উপকারে আসে না। তা ছাড়া দুই বছরের নিচের শিশুদের কফ সিরাপ ব্যবহার না করাই বাঞ্ছনীয়। কারণ এর যথেষ্টই বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল ও গরম খাদ্য গ্রহণ, লবণ পানিতে গড়গড়া, মেনথলমিশ্রিত গরম বাষ্প ইত্যাদি ঘরোয়া চিকিত্সাগুলো অনেকাংশেই আরাম দিতে পারে।

বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লেই হেঁচে-কেশে একসা। কিছু টিপস মাথায় রাখলেই এসব থেকে মুক্তি হতে পারে। ছাতা নিয়ে বেরোলেও মুষলধারে বৃষ্টিতে রেহাই পাই না আমরা। কারও কারও আবার বৃষ্টিতে ভিজতে ভালও লাগে। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজার পর অসুস্থও হয়ে পড়ি আমরা। কিছু নিয়ম মেনে চললে, এই অসুস্থতা এড়ানো যেতে পারে। বৃষ্টিতে যদি পুরো ভিজ গিয়ে থাকেন, যত দ্রুত সম্ভব স্নান করে নিন। এতে সংক্রমণ থাবা বসাতে পারবে না। বৃষ্টিতে ভেজার পর গরম দুধ, চা বা অন্য পানীয় গলায় ঢালুন। এতে শরীর গরম থাকব। ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া থাবা বসাতে পারবে না।

পর্যাপ্ত পানিপান করুন। এতে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খান। পাতে থাক শাক-সবজি, ফল। ভিটামিন এবং মিনারেলসের জোগান বাড়ান। ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ঘন ঘন মুখে হাত দেওয়া এড়ান। বিশেষ করে অপরিষ্কার হাতে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুখমণ্ডল থেকেই সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন খেতে পারেন, যাতে ভিটামিন সি, বিটা গ্লুকান রয়েছে। এতে কাশি, গলা ব্যথা কাবু করতে পারবে না আপনাকে।

বৃষ্টিতে ভিজে গেলে, প্রথমেই বাড়ি ফিরে জামাকাপড় পাল্টে ফেলুন। এর পর হালকা ব্যায়াম করুন। এতে শরীর গরম থাকবে, রক্ত সঞ্চালনেও উন্নতি হবে। ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: স্টাফ রির্পোটার।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
হামাসের সঙ্গে তুর্কি গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠক, যা নিয়ে আলোচনা

হামাসের সঙ্গে তুর্কি গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠক, যা নিয়ে আলোচনা