ঢাকা | |

আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট নিখোঁজ কিশোর টঙ্গী থেকে জীবিত উদ্ধার

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হয় কিশোর জিহাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে একপ্রকার
  • আপলোড সময় : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ২:৩৪ সময়
  • আপডেট সময় : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, দুপুর ২:৩৪ সময়
আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট নিখোঁজ কিশোর টঙ্গী থেকে জীবিত উদ্ধার ছবি : সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হয় কিশোর জিহাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে একপ্রকার ভেবেই নেওয়া হয়, আন্দোলনের সময় কোনোভাবে হয়তো মৃত্যু হয়েছে তার। তবে পুলিশের প্রচেষ্টায় দুই মাস পর নিখোঁজ জিহাদের সন্ধান পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছে তার পরিবার।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অলক কুমার দে। 

এর আগে, গত ১৮ আগস্ট আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন তার ছেলে জিহাদ নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে বলা হয়েছিল, ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে জিরাবোর বাসা থেকে জিহাদ ও তার বোন ফাতেমা (২) নিখোঁজ হয়। পরে পাশের এক বাসায় শিশুকন্যাকে খুঁজে পেলেও জিহাদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট মা-বাবার ওপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় জিহাদ। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জিরাবো এলাকার ভাড়া বাসায় থাকত। নিখোঁজের রাতে সে আশুলিয়া এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে। পরদিন গাজিপুরের টঙ্গী রেলস্টেশনের ভাই ভাই হোটেলে এক ব্যক্তির সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। নিখোঁজের পরদিন তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোন চুরি হয়ে যায়। খোয়া যাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

জিহাদের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্ট রাতে জিহাদ বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয়। হাসপাতাল, থানা, মর্গে খুঁজেছি অনেক জায়গায় মাইকিং করেছি, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েও তার কোন সন্ধান পাইনি। কোন সন্ধান না পেয়ে ভেবেছিলাম জিহাদ আর কোনোদিনও ফিরবে না, ও হয়ত মারা গেছে। তবে শেষ ইচ্ছা ছিল, কোনোভাবে যাতে ছেলের লাশটা অন্তত পাই।

তিনি আরও বলেন, এসআই অলক কুমার দায়িত্ব নেয়ার পর জিহাদকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে টঙ্গী থেকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমরা তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে জিহাদকে জীবিত ফিরে পেয়েছি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমার ছেলেকে উদ্ধারে অনেক কষ্ট করেছেন। এ ঘটনার পর পুলিশের প্রতি আমার ধারণা পাল্টে গেছে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অলক কুমার দে বলেন, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন ও সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নিখোঁজ জিহাদের বাবা-মা তাদের সন্তানকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। থানায় জিডি করার পর একাধিক কর্মকর্তা জিহাদকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় টঙ্গীর একটি হোটেলে কাজ করা অবস্থায় জিহাদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
নাট্যাভিনেতা আনামিকা বিমানবন্দরে সোনাসহ আটক

নাট্যাভিনেতা আনামিকা বিমানবন্দরে সোনাসহ আটক