অনেক আগেই ডিমের দাম সহনীয় পর্যায় অতিক্রম করেছে। এতে জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। যদিও লাগাম টানতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। জনস্বার্থে এরইমধ্যে আমদানির অনুমতিও দিয়েছে। তারপরও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি, কমেনি একটি টাকাও বলে দাবি ক্রেতাদের। যদিও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়ে কমেছে দাম, খুচরা পর্যায়েও কমবে শিগগির। খবর বাসস।
সহনীয় পর্যায়ে দাম নির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে অচিরেই ডিমের দাম কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘ডিমের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকার নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। এতে পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম কমেছে, আমরা আশা করছি, শিগগিরই এর দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
শুক্রবার ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় সারাদেশে অনেক পোলট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা শেষ পর্যন্ত ডিমের সামগ্রিক উৎপাদন ও সরবরাহকে প্রভাবিত করেছে।’
ডিমকে একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান হিসাবে ঘোষণা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ফরিদা আখতার আরও বলেন, উৎপাদন বাড়াতে গ্রাম পর্যায়ে মহিলাদের পোলট্রি খামার পরিচালনায় উৎসাহিত করতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এটি তাদের অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী করে তুলবে। তাই গ্রামীণ বসতবাড়িতে হাঁস-মুরগি পালনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘আশ্বিন-কার্তিক মাসে দেশে সবজির সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যে কারণে ডিমের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং দামও নাগালের বাইরে চলে যায়।’ চাহিদা কম থাকাকালীন উদ্বৃত্ত ডিম হিমাগারে সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংরক্ষিত ডিম আমরা পরবর্তীতে ব্যাপক চাহিদার সময় সরবরাহ করতে পারি। তবে, সংরক্ষণের নামে ডিম মজুদ রাখার অনুমতি কোনোভাবে দেওয়া হবে না।’