লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলা ঠেকাতে ‘পূর্ব সতর্কতামূলক’ আক্রমণের অংশ হিসেবে এক দিনে বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বা ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। তবে এই আক্রমণ চালায়নি ইসরায়েল বলেই দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা শিল্পের একটি জ্যেষ্ঠ সূত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম গ্লোবসের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন লেবানিজ সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন।
গতকাল রোববার সকালে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো শুরু করে। মূলত দেশটির রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শুক্রি নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। এই হামলার অংশ হিসেবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো শুরু করে। এমনকি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের গ্লিলত ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।
এই হামলার বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনী আগাম আক্রমণ চালিয়েছিল বলে দাবি করে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহর ছোড়া হাজার হাজার রকেটের বিপরীতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছিল এবং এসব যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর রকেটগুলোকে ধ্বংস করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, এই আক্রমণে চার হাজার জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন (জেডিএএম) বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। যার প্রতিটির মূল্য ২৫ হাজার ডলার করে। ১০০টি যুদ্ধবিমান ৬ ঘণ্টা করে উড়ানোর জন্য মোট ১৮ মিলিয়ন ডলার, ১২ ঘণ্টা ধরে ড্রোন অপারেশনের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৮ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য গোলাবারুদসহ মোট ১২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল যখন ইরান ইসরায়েলে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল, তখনো ইসরায়েলকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়েছিল। সে সময় ইসরায়েল দাবি করেছিল, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম ইন্টারসেপ্টরের প্রতিটি ইউনিটের জন্য ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ডলার এবং ডেভিড স্লিং ইন্টারসেপ্টরের জন্য ব্যয় হয়েছে ৭০ হাজার ডলার করে।