এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূলফটকে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে নগরীর সিএন্ডবি, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, লক্ষীপুর মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
তবে ম্যুরাল ভাংচুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান সমন্বয়কেরা।
হলের নিরাপত্তা প্রহরী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ১৫/২০ ব্যক্তি হল গেটের সামনের লাইট বন্ধ করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালটি ভাঙতে শুরু করে। এ সময় ভাংচুরকারীরা হলের কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরীকে দূরে সরে যেতে বলে। ম্যুরাল ভাঙার পর তারা হলের নামফলকটিও ভাঙার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) হলগেটে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটির মুখের অবয়ব পুরোটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ম্যুরালটির মুখমণ্ডলে শাবল দিয়ে খোঁচানো হয়েছে। ম্যুরালের সামনের সীমানা প্রাচীর লোহার চেইনের অংশটুকুও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম ও মোঃ হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর আসাবুল হকসহ প্রশাসনের ৩১ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদত্যাগের পর এবার আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের পদত্যাগ শুরু হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহিদ হবিবুর রহমান, মাদার বখশ ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকেরা পদত্যাগ করেছেন। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভাংচুরের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো: মেশকাত চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আপনার কাছ থেকেই ম্যুরাল ভাংচুরের বিষয়টি শুনলাম। কে বা কারা এ কাজ করেছে, সেটি জানা নেই। ম্যুরাল ভাংচুরের সঙ্গে আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা নেই।’