ঢাকা | |
সংবাদ শিরোনাম :
যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে টিম হোটেল ছাড়েন ধোনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং-কর্মীদের কোন এলাকায় কত বেতন, জানাল অর্থমন্ত্রণালয় বিচার বিভাগ সংস্কার শিগগিরই: উপদেষ্টা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে: মান্না আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আদায় করে নেব: ফারুক বৈঠকে সন্তুষ্ট না, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত সাকিবের আওয়ামী লীগে যোগদানের সিদ্ধান্ত শুধু ভুল নয়, বিশ্বাসঘাতকতাও: প্রেস সচিব পোষা বিড়ালকে মোবাইলে কী দেখালেন তারেক রহমান?

এস আলমের পকেটে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকা

মাত্র বছর দশেক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে
  • আপলোড সময় : ১৪ আগস্ট ২০২৪, সকাল ৮:৩৫ সময়
  • আপডেট সময় : ১৪ আগস্ট ২০২৪, সকাল ৮:৩৫ সময়
এস আলমের পকেটে ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকা ছবি : সংগৃহীত
মাত্র বছর দশেক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এই ব্যাংক।

গ্রাহকের আস্থার কারণে স্থানীয় আমানত কিংবা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে এটি সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাংকটির আকার এতটাই বড় হয়ে উঠেছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হতো—ইসলামী ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়লে পুরো খাতে ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ তৈরি হবে, যা রোধ করা সম্ভব হবে না।

কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছর সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ। এই টাকা বের করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে। ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে।

নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে এস আলম গ্রুপ।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৫২ শতাংশের মতো, যা এখন ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছিল তিন হাজার ছয় কোটি টাকা। তখন ব্যাংকের মোট ঋণ ছিল ৬১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা আর আমানত ছিল ৬৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। সারা দেশে ব্যাংকটির শাখা এখন ৩৯৫টি, উপশাখা ২৫০টি । ২০২৩ সাল শেষে ইসলামী ব্যাংকে আমানত বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা ও ঋণ ১ লাখ ৬০ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের চেয়ে বেশি টাকা ঋণ হিসেবে বের করে দিয়েছে ব্যাংকটি। বাড়তি এই টাকা এসেছে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংকঋণের টাকা পাচার করতে তাই এস আলম গ্রুপ একাধিক গ্রুপ তৈরি করেছে, ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলেছে।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন, যা জানালেন সুয়ারেজ

মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন, যা জানালেন সুয়ারেজ