দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিতে আহত রাহুল নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়। এর আগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষার্থী রাহুল মারা যান।
নিহত শিক্ষার্থী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত শিক্ষার্খী রাহুলের বড় ভাই আলামিন ইসলাম জানান, ৪ আগস্ট আমার ছোট ভাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিছিলে ছিলো। দুপুরের দিকে দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ অবস্থান নেয় পৌরসভা রেলক্রসিং এলাকায়। এ সময় শিক্ষার্থী পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল রাহুলের সামনে এসে পড়ে। পরে পুলিশের গুলিতে আহত হয় আমার ভাই রাহুল।
পরে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষণিক তাকে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান থেকে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার শরীর থেকে গুলি বের করেন চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতাল থেকে রাহুলকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল থেকে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, রাহুলের ঊরুতে ছররা গুলির চিহ্ন আছে। তার শ্বাসকষ্টও ছিল। গত বুধবার আনুমানিক রাত আটটায় অচেতন অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়। তার রক্তচাপ খুব কম ছিল, জ্বরও ছিল। মস্তিষ্কে ইনফেকশন ধরা পড়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।