ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরা জেলখানায় হামলা চালিয়ে বন্দীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। কারাগারে থাকা ৫৯৬ সকলেই চলে যায়। অনেক যেতে না চাইলেও বাধ্য করা হয়। পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়া বন্দীরা ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত অন্তত ৪০৫ বন্দীর ফেরত আসার কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার একদল বিক্ষুব্ধ লোক কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর করলে ৫৯৬ জন বন্দী পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কয়েক হাজার জনতা একজোট হয়ে সাতক্ষীরা কারাগারের ফটক টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে কারাগারের প্রথম ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে সেল ও সাধারণ ওয়ার্ড ভেঙে সব আসামি ও কয়েদি বের করে নিয়ে যান।
কলারোয়া কেড়াগাছি গ্রামের আশরাফ হোসেন ও কয়লা গ্রামের আবদুল রকিব বলেন, তাঁরা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় একদল লোক এসে তাঁদের কারাগার থেকে বের হয়ে যেতে বললে তাঁরা বের হয়ে যান। কারা কর্তৃপক্ষের মাইকিং শুনে তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন।
জেলার হাসনা জাহান বিথি বলেন, কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের আসামি ও কয়েদি ছিলেন ৫৯৬ জন। ২৭ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার মধ্যে ২৩ জন ফিরে এসেছে। দুইজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে একজন ফিরে এসেছে।
এর মধ্যে বুধবার বিকেল রাত পর্যন্ত ৪০৫ জন ফিরে এসেছেন। তিনি আশা করছেন, আরও কিছু আসামি ফেরত আসবেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে ৫৬ জন জামিনে মুক্ত হয়ে গেছে।