বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বীরগঞ্জ থানা হামলার শিকার হয়েছিল। এই ঘটনায় থানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে থানা ভবনটি পরিষ্কার ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বীরগঞ্জ থানায় কাজ করে শিক্ষার্থীরা থানা ভবনটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেয় এবং তা পরিষ্কার করে। তাদের এই কাজের ফলে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন এর কাছে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে টিম তৈরি করে কাজ ভাগ করে নিয়েছে। কেউ কেউ থানা ভবনের ভাঙা ইট পাথর সরিয়ে ফেলেছে, কেউ কেউ পরিষ্কার করেছে ধুলা ও ময়লা।
শিক্ষার্থীদের এই কাজের মাধ্যমে সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে। তাদের এই উদ্যোগ সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, সমাজের কল্যাণে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগের জন্য স্থানীয় জনগণ এবং প্রশাসন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তাদের প্রচেষ্টা একটি ভাঙা থানাকে আবারো নতুন রূপে গড়ে তোলার প্রয়াসে সহায়ক হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তরুণ সমাজকর্মী ও দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা মো: আবু জুবায়ের। জুবায়ের বলেন, গত ১৪ তারিখ থেকে আমরা ঘুমাতে পারিনি, ফজরের পর ঘুমিয়েছি। এখন পর্যন্ত কাজ চলমান, দায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত ১২ দিন বাসায় থাকতে পারিনি, পালিয়ে বেরিয়েছি। ৪ তারিখ আন্দোলনে হামলার শিকার হয়ে শয্যাশায়িত ছিলাম। আল্লাহ মাফ করুন। জীবন বাজি রেখে এ সংগ্রামের একটাই লক্ষ্য ছিলো দেশটা স্বাধীন হোক। এখন এই স্বাধীনতা রক্ষার দ্বায়িত্ব সবার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ থানার যোদ্ধা মো: আব্দুর রহমান, মোঃ বাঁধন ইসলাম, মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ তানভীর ইসলাম, মোঃ মাহাবুব ইসলাম, মোঃ তৌফিক মাহমুদ সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বীরগঞ্জ এর শিক্ষার্থীবৃন্দ।