ঢাকা | |

ফরিদপুরে সক্রিয় কার্যক্রম পালন করছে আন্দোলনকারীরা

ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা, শপথ বাক্য পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৭ আগষ্ট) সকাল
  • আপলোড সময় : ৭ আগস্ট ২০২৪, দুপুর ৪:৪১ সময়
  • আপডেট সময় : ৭ আগস্ট ২০২৪, দুপুর ৪:৪১ সময়
ফরিদপুরে সক্রিয় কার্যক্রম পালন করছে আন্দোলনকারীরা ছবি : সংগৃহীত
ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা, শপথ বাক্য পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে ‌শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে শুরু হয়ে হাজরাতলার মোড়, গোরস্থানের মোড়, আলীপুরের মোড়, সুপার মার্কেটের মোড়, জেনারেল হাসপাতালের মোড়, ব্রহ্মসমাজ সড়ক, ফরিদ শাহ সড়ক হয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত, জনি বিশ্বাস। অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য দেন এ আন্দোলনে শুরু থেকে জড়িত আবরার নাইম ইতু, মারুফা মিম, আলিফ বিন সাদিক প্রমুখ।

বক্তারা জানান, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ আবারও নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর তাই এই অর্জিত স্বাধীনতা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে খেয়াল ও সতর্ক থাকতে হবে।

এ আন্দোলন করেছে দেশের ছাত্র সমাজ। তাই এ বিজয় কোন রাজনৈতিক দলের দাবি করার সুযোগ নেই।

বক্তারা আরো জানান, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ওই সময় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। নেতাকর্মীদের আহত করেছে, একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমাদের ৫৯ জন আন্দোলনকারীকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

নির্যাতন, নিপীড়ন, মামলা, জেল জুলমে আমরা বিচলিত হইনি। আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করতে শিখেছে।

বক্তারা আরো জানান, গত ১৬ জুলাই এই কলেজে হতেই আন্দোলনে সূচনা করা হয়েছিল। এতে আমাদের অসংখ্য ভাই বোন অংশগ্রহণ করেছিল। তারা তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল আহত হয়েছিল।

বক্তারা রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উক্ত কলেজ টিকে রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা দেন। এখন থেকে কোন ছাত্র সংগঠন এই কলেজে আর রাজনীতি করতে পারবে না বলে ও তারা জানান।

কলেজ ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে হবে যাতে আর কোন অশুভ শক্তি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকাণ্ড করা হবে না বলে জানানো হয়। এছাড়া চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে শপথ বাক্য পাঠ করেন মেহেরুন নিসা স্বপ্না। অনুষ্ঠানের শেষে উক্ত আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি তানভীর আহমেদ।
  • বিষয়:

নিউজটি আপডেট করেছেন: বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ডেস্ক।

বাংলা নিউজ নেটওয়ার্ক ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কমেন্ট বক্স
শেখ পরিবারের নাম থাকলেই প্রকল্প পাস

শেখ পরিবারের নাম থাকলেই প্রকল্প পাস