নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গী নুরুল আলম (২২) আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী আদালতে কোর্ট পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
জঙ্গী নুরুল আলম আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে।
নুরুলের আইনজীবী তারিক বলেন, "সে সকালে এসে কোর্টে হাজির হয়ে আমাকে খুঁজতে থাকে। তার এই মামলায় এর আগে কয়েকবার জামিন শোনানি চেয়েছি,আদালত জামিন মঞ্জুর করেনি। গেলো ১৯ শে জুলাই জেলা কারাগার থেকে বন্দী পলায়নের ঘটনায় সেও পলায়ন করে। এর আগে ২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সন্ত্রাস দমন আইন মামলায় সাড়ে তিন বছর যাবত জেল হাজতবাসে আছে। আদালতে আত্নসমর্পণে এসে সে জানান পুলিশ তার ভাইকে আটক করেছে। ভাইকে আটক করার ঘটনা সে মানতে পারেননি। তাই সে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্নসমর্পণ করেছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নরসিংদী কারাগারে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়। ওই সময় কারাভ্যন্তরে বন্দীদের থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। কারারক্ষীদের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ভেতরে ঢুকে বন্দীদের অনেকগুলো কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হয়। কিছু কক্ষের তালা ভেঙে ফেলা হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে গেলে বন্দী ৮২৬ জনই কারাগার থেকে পালিয়ে যান। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।
ওই দিন পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ জন বন্দীর মধ্যে ৯ জন ছিলেন জঙ্গী। তাদের মধ্যে সিটিটিসির হাতে খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা ও ইসরাত জাহান ওরফে মৌ ওরফে মৌসুমী, র্যাবের হাতে ফারুক আহম্মেদ এবং নরসিংদী জেলা পুলিশের হাতে জুয়েল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখনও পলাতক চার জঙ্গী হলেন, হিজবুল্লাহ মিয়া, আবদুল্লাহ কামরুল, মো. মহিউদ্দীন ও আবদুল আলীম। এই চারজনও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।